কউক উন্নয়নে নয়, ভাঙচুরেই ব্যস্ত!

 



##কক্সবাজারে কয়েকটি দপ্তরের কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বোমা ফাটালেন সাংবাদিক নেতারা

##তাদের কারণে স্বাস্থ্য, ট্র্যাফিক ও জেলা তথ্য ভবন নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে ক্ষোভ


এরফান হোছাইন:

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) পরিকল্পিত উন্নয়ন ও পর্যটন শহরের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজে মনোযোগ না দিয়ে উল্টো বিভিন্ন ভবন ও স্থাপনা ভাঙচুরেই ব্যস্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন কক্সবাজারের সাংবাদিক নেতারা। 

আজ রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেলে কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে স্থানীয় অনলাইন গণমাধ্যম (সিজেএন)-এর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বক্তারা কক্সবাজারে কয়েকটি দপ্তরের অনিয়ম ও প্রশাসনিক দুর্বলতা নিয়েও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।



কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল ইসলাম হেলালী তার বক্তব্যে কউক-এর ভূমিকা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ যেখানে কক্সবাজারের সৌন্দর্যসহ পরিকল্পিত উন্নয়নে ব্যস্ত থাকার কথা, সেখানে উল্টো পর্যটন শহরে বিভিন্ন ভবনসহ নানা স্থাপনা ভাঙচুরে ব্যস্ত।” তাঁর এই বক্তব্য কউক-এর কাজের অগ্রাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।


কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারী এক শ্রেণীর কর্মকর্তাদের অনিয়ম ও আন্তিরকতার অভাবের কারণে জেলাবাসী কাংখিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, জেলা তথ্য ভবন নির্মাণে গত ১ বছরেও স্থান নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।


কক্সবাজারে স্বাস্থ্যখাতে অব্যবস্থাপনার বিষয়ে অভিযোগ এনে বলেন, গাড়ি চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে অনেকেই সদর হাসপাতালে ডোপ টেস্ট করাতে গিয়েও সেবা না পাওয়ার কথা উল্লেখ করেন তিনি। 


অন্যদিকে, তিনি ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন,  সংশ্লিষ্টরা গত ১৪ মাসেও পর্যটন এলাকায় ট্র্যাফিক ব্যবস্থার কোনো উন্নতি ঘটাতে পারেনি। শহরের আনাচে-কানাচে ট্র্যাফিক জ্যামে শহরবাসী জিম্মি হয়ে পড়েছেন।


অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এম আর মাহাবুব সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, কক্সবাজারের সাংবাদিকদের এলাকার উন্নয়নের সংবাদ যেভাবে প্রচার করতে হবে, ঠিক তেমনি বিভিন্ন দপ্তরের দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের সংবাদও সাহসের সাথে প্রচার করতে হবে। 


এছাড়াও অনুষ্ঠানে আগত সাংবাদিক নেতারা আরও বলেন,  জুলাই আন্দোলনের পরে ১৪ মাস পার হলেও কক্সবাজার বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির কোন পরিবর্তন হয়নি। ফলে সমুদ্র সৈকতে আগত পর্যটকেরা সেবা বঞ্চিত। দীর্ঘদিন ধরে লাবণী,  সুগন্ধা, কলাতলী সহ নানা পয়েন্টে সড়কবাতি না থাকায় বাড়ছে চুরি-ছিনতাই সহ নানা অপরাধ।  

 সচেতন মহলের দাবি, বক্তাদের এই বক্তব্য পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সার্বিক প্রশাসনিক ও সেবামূলক খাতের গভীর সংকটের চিত্র।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ