//জাতির ক্রান্তিলগ্নে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান অবিস্মরণীয়, বললেন জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ
অফিস ডেস্কঃ
যথাযোগ্য মর্যাদা ও মনোমুগ্ধকর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কক্সবাজারের রামু সেনানিবাসে মহান সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৫ উদযাপিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীনতা যুদ্ধের গতিকে ত্বরান্বিত করতে তিন বাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণের সূচনাকে স্মরণ করে প্রতি বছর ২১ নভেম্বর এই দিবসটি পালন করা হয়।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর, ২০২৫) বিকেলে রামু সেনানিবাসে আয়োজিত এক মনোমুগ্ধকর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল গণ্যমান্য অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান ১০ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার কক্সবাজার এরিয়া মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ মিনহাজুল আলম, এনডিইউ, পিএসসি, পিএইচডি।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে দেওয়া স্বাগত ভাষণে জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ মিনহাজুল আলম মুক্তিযুদ্ধে কক্সবাজার অঞ্চলের মানুষের অসীম সাহসিকতা, সহযোগিতা এবং বীরত্বপূর্ণ অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি কক্সবাজার অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান এবং আগত মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্য ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি আরও বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী দেশের প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। একইসাথে জাতীয় পর্যায়ে যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলা, পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস দমন, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং বিভিন্ন দেশ গঠনমূলক কর্মকান্ডে সশস্ত্র বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা তুলে ধরেন তিনি।
জিওসি তার বক্তব্যে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার বিষয়েও আলোকপাত করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই বাহিনীর সদস্যরা ভবিষ্যতেও দেশের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রাখবেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, সশস্ত্র বাহিনীর প্রাক্তন সদস্যগণ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্যসমূহ