কক্সবাজারে বাড়িতে ঢুকে আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক বিএনপি নেতা লিয়াকতকে গুলি

 নিজস্ব প্রতিবেদকঃ




কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক ইউপি সদস্য লিয়াকত আলী দুর্বৃত্তের গুলিতে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন।
রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে একদল হামলাকারী তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করে তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় এবং পরে কুপিয়ে জখম করে।

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গুরুতর জখম লিয়াকত আলী উদ্ধার করে বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

হামলার পর স্থানীয় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতারা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। স্থানীয় বিএনপি নেতাদের দাবি, এই হামলার পেছনে আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্ট চাঁদাবাজ চক্র জড়িত।

স্থানীয়রা জানান , আহত লিয়াকত বলেন তাকে ৩ জন ব্যক্তি কুপিয়েছে তবে তাদের নাম বলতে পারেনি।

যুবদল নেতা জয়নাল আবেদিন গণমাধ্যমকে জানান, "লিয়াকত আলী লিংকরোড এলাকার আওয়ামী লীগের কিছু চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছিলেন। ৫ আগস্টের পর সেই চাঁদাবাজদের অপকর্মের প্রতিবাদ করায় তারা তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত ছিল।" তিনি আরও অভিযোগ করেন, সন্ত্রাসীরা তাঁর বাড়িতে ঢুকে গুলি চালানোর পর কুপিয়ে তাঁর রগ কেটে দেয়, যার ফলে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন।


গুলির শব্দ ও চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে হামলাকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ঝিলংজা ইউনিয়ন বিএনপি এবং জেলা বিএনপির নেতারা এই পূর্বপরিকল্পিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তারা বলছেন, স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের নৃশংসতার শিকার হয়েছেন লিয়াকত সিকদার।

এনসিপি নেতা আব্দুল আজিজ কক্সবাজারের ঝিলংজা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী মেম্বারের ওপর আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসীদের হামলার তীব্র নিন্দা, ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, সাধারণ মানুষ এখনো কক্সবাজার শহরে সন্ত্রাসীদের অব্যাহত তৎপরতার কারণে নিজেদের অনিরাপদ মনে করছে।

আহত অবস্থায় লিয়াকত সিকদারকে স্থানীয়রা দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁর জরুরি চিকিৎসা শুরু করেন এবং তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান হামলার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে এবং কারা এতে জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।

সোর্সঃ দৈনিক পূর্বকোণ অনলাইন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ