![]() |
| মামুনের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনে বিএনপির ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা-কর্মীরা |
'মহেশখালী অরক্ষিত': নিজ দলের 'চাঁদাবাজ নেতার' রোষানলে নির্যাতিত বিএনপির ত্যাগী কর্মীরা
আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আঁতাত করে প্রকল্প দখল, প্রতিবাদ করায় শ্রমিকদল নেতাকে মিথ্যা মামলায় আটক ও নির্যাতন: অভিযোগ মানবন্ধনে
কক্সবাজার প্রতিনিধি:
মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে দলীয় কোন্দল এবং চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় স্থানীয় শ্রমিকদল নেতার গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করেছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। গত ২৯ অক্টোবর রাতে উপজেলা শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি ও মাতারবাড়ি ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার পরবর্তী অমানবিক নির্যাতন এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মাতারবাড়ি পুরাতন সিএনজি স্টেশন চত্বরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল মাতারবাড়ি ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে এই মানববন্ধনে শত শত নেতাকর্মী ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অংশ নেন।
অভ্যন্তরীণ কোন্দলে 'চাঁদাবাজি ও দখলদারি'
মানববন্ধনে বক্তারা দলেরই কতিপয় প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলেন। জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম দাবি করেন, মহেশখালী ও মাতারবাড়ীতে বিএনপির কতিপয় এক সুবিধাবাদী চাঁদাবাজ নেতা সরকারি প্রকল্প এলাকা দখল, টেন্ডারবাজি এবং টমটম-সিএনজি থেকে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত। তিনি বলেন, এই নেতা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে অবৈধ সাম্রাজ্য টিকিয়ে রেখেছেন, যার কারণে বিএনপির ত্যাগী ও নির্যাতিত কর্মীরা অরক্ষিত হয়ে পড়েছেন।
![]() |
| বিএনপির চাদাঁবাজ খ্যাত মহেশখালীর সেই নেতাকে নিয়ে চাঞ্জল্যকর তথ্য ফাঁস করলেন জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম |
রফিকুল ইসলাম আরও অভিযোগ করেন, "আমার দলের কর্মী মামুন ওই চাঁদাবাজ নেতার অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতেন। যার ফলে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে এবং থানায় আটক করে রাতভর অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে।" তিনি জানান, ওই নেতার পরিবারের আরেক সদস্য আওয়ামী লীগের আমলে এলাকায় প্রভাব খাটাতেন, যা তৃণমূল কর্মীদের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
নেতাকর্মীদের ক্ষোভ ও হাইকমান্ডের প্রতি হুঁশিয়ারিঃ
মাতারবাড়ি ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. আরমান উল্লাহ আরমানের সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন, বিগত ১৬ বছর যারা মাতারবাড়ীতে দলের কোনো কর্মসূচি করতে পারেনি, তারা এখন দলীয় পদের দখলদার হয়ে মাছের প্রজেক্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন দখলদারি চালাচ্ছে। এসবের প্রতিবাদ করায় আবদুল্লাহ আল মামুনকে আটক করতে ওই নেতারা সহযোগিতা করেছেন। তারা দাবি করেন, এই দখলদার নেতাদের কারণে মাতারবাড়ীতে বিএনপির তৃণমূলের মৃত্যু ঘটেছে।
মানববন্ধনে মাতারবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ আহমদ সহ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও মহিলাদলের নেতাকর্মীরা অবিলম্বে তৃণমূলের জনপ্রিয় শ্রমিক নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুনের নিঃশর্ত মুক্তি এবং তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
তিনি আরও বলেন, সেই আওয়ামী পরিবারের শীর্ষ নেতার ভাই আরেক বিএনপি নেতা মহেশখালীর আনাচে কানাচে সহ মাতারবাড়িতেও বিএনপির নির্যাতিত পরিবারের ঘের দখল সহ নানা অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
জেলা শ্রমিকদল সভাপতি রফিকুল ইসলাম দলের হাইকমান্ডের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "দলের অভিভাবকেরা যদি এই চাঁদাবাজ নেতার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হন, তবে অচিরেই বিএনপিতে ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হবে।"


0 মন্তব্যসমূহ