'সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫' সংশোধনের অনুমোদন: বাতিল হবে ৮টি ধারায় দায়ের হওয়া সব কার্যক্রম
বিশেষ প্রতিবেদক:
রহিত হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (ডিএসএ) দায়ের হওয়া বিতর্কিত কয়েকটি ধারার অধীনে চলমান সব তদন্তাধীন মামলা ও বিচারিক কার্যক্রম বাতিল হতে চলেছে। একই সঙ্গে, এসব ধারায় ইতোপূর্বে কারও দণ্ড বা জরিমানা হয়ে থাকলে, তা-ও বাতিল বলে গণ্য হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে 'সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫'-এর ৫০ ধারা সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধান উপদেষ্টার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।
যেসব ধারা বাতিল হচ্ছে
উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন হওয়া সংশোধিত খসড়ায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, রহিত করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর যে আটটি ধারা বাতিল হচ্ছে, তা হলো: ২১, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯ ও ৩১ ধারা।
এই ধারাগুলোর অধীনে বা অপরাধ সংঘটনে সহায়তার অভিযোগে কোনো আদালত বা ট্রাইব্যুনালে নিষ্পন্নন নয় এমন কোনো মামলা বা অন্যান্য কার্যধারা বাতিল হবে। একই সঙ্গে, পুলিশ কর্মকর্তা বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্তাধীন মামলা বা কার্যক্রমও বাতিল হবে এবং এ বিষয়ে আর কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না।
এছাড়া, এই আটটি ধারার অধীনে কোনো আদালত বা ট্রাইব্যুনালের দেওয়া দণ্ড ও জরিমানাও বাতিল বলে গণ্য হবে।
পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত ডিএসএ-এর অধীনে হয়রানির শিকার হওয়া সাংবাদিক, অধিকারকর্মী ও সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় ধরনের স্বস্তি নিয়ে আসবে।

0 মন্তব্যসমূহ