'পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়ন না হলে আরও একটি গণঅভ্যুত্থান অপেক্ষা করছে'

 



'পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়ন না হলে আরও একটি গণঅভ্যুত্থান অপেক্ষা করছে'

নমিনেশন বাণিজ্য বন্ধ হবে বলে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির বিরোধিতা চলছে, দাবি ড. হামিদুর রহমান আযাদের

কক্সবাজার প্রতিনিধি'

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য ড. এ. এইচ. এম. হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, দেশে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে 'জুলাই জাতীয় সনদ'-এর বাস্তবায়ন অপরিহার্য। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন পদ্ধতি বা পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতি সম্পর্কে একটি মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে জনগণের মধ্যে ভুল ধারণা ছড়াচ্ছে।

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নে তৃণমূল দায়িত্বশীলদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. হামিদ বলেন, পিআর পদ্ধতি জনপ্রিয় হলেও যারা এই পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা জেনেও না জানার ভান করছেন, তারা মূলত জনগণের ন্যায্য অধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে শত কোটি টাকার নমিনেশন বাণিজ্য, কালো টাকার ছড়াছড়ি, কেন্দ্র দখল ও ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের মতো অপতৎপরতা বন্ধ হবে—এ কারণেই তারা এর বিরোধিতা করছেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও রাজপথের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুর প্রসঙ্গ টেনে জামায়াত নেতা বলেন, একসময় একটি মহল তত্ত্বাবধায়ক সরকার (কেয়ারটেকার) বুঝতো না, ফলস্বরূপ ৯৬ সালে সংবিধান থেকে তা বাদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জনগণের গণআন্দোলনের মুখে তাদের ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হতে হয়েছিল।

তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, "জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট কী ছিল, তা বোঝার চেষ্টা করুন। অন্যথায় রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায় করতে প্রয়োজনে আরও একটি গণঅভ্যুত্থান অপেক্ষা করছে।"

দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শন ও সম্প্রীতির বার্তা

ঐ রাজনৈতিক আলোচনার পাশাপাশি ড. হামিদুর রহমান আযাদ বিকেলে মহেশখালী পৌরসভা ও বড় মহেশখালী ইউনিয়নে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার মণ্ডপ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি মহেশখালী-কুতুবদিয়ার জনগণের মধ্যে বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রশংসা করেন।

তিনি অভিযোগ করেন, একটি দল অপকৌশলে এই সম্প্রীতি বিনষ্টের জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাই তিনি সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান। মণ্ডপ পরিদর্শনকালে হিন্দু বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টি বাবু পরিমল শীল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, জেলা সহকারী সেক্রেটারি শামশুল আলম বাহাদুর সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ