কক্সবাজার সংবাদদাতা:
প্রতারণার মামলায় মামুনুর রশিদ (৩২) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে কক্সবাজার জেলার ঈদগাও থানা পুলিশ।
শুক্রবার ( ৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঈদগাও থানা পুলিশের অভিযাে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তার বড় ভাই প্রতারক ঈসমাইল ও পিতা বদরুল আলম কৌশলে পালিয়ে যায়।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিভিন্ন ব্যক্তি ও পরিচিতজনের কাছ থেকে নানা অজুহাতে অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
গ্রেপ্তার মামুনুর রশিদ কক্সবাজারের ঈদগাহ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের (৪নং ওয়ার্ড) নাপিতখালী ভিলেজার পাড়ার বাসিন্দা বদরুল আলমের ছেলে।
মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে ৯টি মামলা রয়েছে এবং আরও ৬-৭টি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পুলিশ সূত্র অনুযায়ী, সিআর-১৬৫০/২৪, সিআর-৪০৯/২৫, সিআর-২২০৯/২৪, সিআর-১৭০৯/২৫, সিআর-৪৬৩/২৫ এবং সিআর-২১৭/২৫ নম্বরের মামলাগুলোতে আসামি হিসেবে সরাসরি তার নাম উল্লেখ আছে। এছাড়া, নন-জিআর ১৬৮১/২৫ মামলায় তার বাবা বদরুল আলম ও সহযোগী মো. ইসমাইলের সঙ্গে তাকেও মামলার আসামি হিসেবে উল্লেখ আছে।
এদিকে, মামুনুর রশিদের বড় ভাই মো. ইসমাইলও একাধিক প্রতারণা মামলার আসামি এবং বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন। তার বিরুদ্ধেও সিআর-১৬৪৯/২৪ এবং সিআর-৭৮২/২৪ নম্বরের দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলার তদন্ত চলছে।
তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি প্রতারণা মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, মামুনুর রশিদ প্রতারণার মাধ্যমে অনেকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। বর্তমানে মামুনুর রশিদ পুলিশের হেফাজতে আছেন এবং তাকে শিগগিরই আদালতে তোলা হবে।
উল্লেখ্য যে, মামুনুর রশীদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক ছাত্র।
অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, তিনি নিজেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ ফয়সালের ছোট ভাই পরিচয় দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী ও পরিচিতজনদের কাছ থেকে টাকা ধার নেন। কিন্তু ধার করা টাকা আর ফেরত না দিয়ে প্রতারণা করেন।
0 মন্তব্যসমূহ