ড্রেজিং সংকটে বন্ধের মুখে মহেশখালী-কক্সবাজার সী-ট্রাক চলাচল

 


//বন্ধ হয়ে যেতে পারে সী-ট্রাক ; ভোগান্তির আশঙ্কা

এরফান হোছাইন:
কক্সবাজারের সাথে মহেশখালীর যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম সী-ট্রাক চলাচল বর্তমানে এক চরম সংকটের মুখে। নিয়মিত ড্রেজিং না হওয়ায় নৌপথের গভীরতা কমে এসেছে, যার ফলে যেকোনো মুহূর্তে এই গুরুত্বপূর্ণ নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে শুধু স্থানীয় বাসিন্দা নয়, হাজার হাজার পর্যটকের যাতায়াতেও চরম ভোগান্তি সৃষ্টি হতে পারে।

আজ বুধবার (১৩ আগষ্ট) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নৌপথের নাব্যতা সংকটের কারণে ভাটার সময় সী-ট্রাক, স্পিডবোট ও গামবোটসহ অন্যান্য নৌযান প্রায়ই পলি জমে আটকে যায়। এতে যাত্রীদের নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ে। বর্ষা মৌসুমে এই সমস্যা আরও তীব্র আকার ধারণ করে।
বর্তমানে এই রুটে একটি মাত্র সী-ট্রাক চলাচল করায় যাত্রী চাপ সামলানো সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে যাত্রীদের দীর্ঘ অপেক্ষার পর অনেকে সী-ট্রাকে উঠতে পারেন না। এ অবস্থায়, যাত্রীসেবা বৃদ্ধি এবং যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে নতুন করে আরও একটি সী-ট্রাক চালুর দাবি উঠেছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী সেলিম মাহমুদ জীবন জানান, ড্রেজিং না হলে মালামাল পরিবহনে ভোগান্তি বাড়বে এবং তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে। সী-ট্রাকের যাত্রী আজিজ বলেন, বিকল্প কোনো পথ না থাকায় এই নৌপথ বন্ধ হয়ে গেলে মহেশখালীর মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়বে।

এদিকে, কক্সবাজার বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা খাইরুজ্জামান শুভ জানান, তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ড্রেজিংয়ের বিষয়ে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম ড্রেজিং ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউর রেজা জানান, তারা আবেদন পেয়েছেন এবং দ্রুত সার্ভে টিম পাঠানো হবে। তিনি বলেন, জনগণের দুর্ভোগ কমাতে খুব শিগগিরই ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হবে। বর্ষায় সাধারণত পলি না জমলেও জেটির কাজসহ বিভিন্ন কারণে ড্রেজিংয়ের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। তবে সী-ট্রাক চলাচল যাতে বন্ধ না হয়, সে জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ