অফিস ডেস্ক: দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রধান সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বরাবরই জনগণের আস্থা ও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। সম্প্রতি দুদকের এক আলোচিত কর্মকর্তা, যিনি নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলার বাদী ছিলেন, তাকে কক্সবাজারে বদলি করা হয়েছে। এই বদলিকে ঘিরে তার বিতর্কিত অতীত ও বর্তমান ভূমিকা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে, যা দুদকের নিরপেক্ষতা এবং স্বচ্ছতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তুলছে।
যিনি একসময় গ্রামীণ টেলিকমের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন, সেই উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান এখন কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের দায়িত্বে। অথচ তার দায়ের করা সেই আলোচিত মামলাটি গত ২৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের রায়ে বাতিল হয়ে গেছে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার বিচারিক প্রক্রিয়ার ফল যখন বাতিল হয়, তখন মামলার যৌক্তিকতা এবং উদ্দেশ্য নিয়েই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন দেখা দেয়।
উল্লেখ্য যে,
গুলশান আনোয়ার প্রধানের পরিচিতি কেবল ড. ইউনূসের মামলার বাদী হিসেবেই সীমাবদ্ধ নয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাকে একজন 'দাপুটে' কর্মকর্তা হিসেবে বিবেচনা করা হতো। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে তার ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেকেই তাকে সরকারের 'আস্থাভাজন' এবং আলোচিত মামলার 'কারিগর' হিসেবেও আখ্যায়িত করতেন।
তবে, সাম্প্রতিক সময়ে তার ভূমিকা এবং পরিচিতি ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন রয়েছে, তিনি 'ডলারে ঘুষ' গ্রহণ করতেন এবং অজ্ঞাত এক 'আশীর্বাদে' বর্তমানে আরও বেশি দাপুটে হয়ে উঠছেন। সবচেয়ে বড় যে আলোচনাটি চলছে, তা হলো তার রাজনৈতিক আনুগত্যের পরিবর্তন। একসময় যিনি শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে সংবাদপত্রে কলাম লিখতেন, এখন তাকে 'পুরোদস্তুর বিএনপি কর্মী' হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
0 মন্তব্যসমূহ