নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা সুমন পস্কোর সিকিউরিটি অফিসার পদে, বিএনপি নেতার সাথে সিন্ডিকেট করে অবৈধ ব্যবসার অভিযোগ
রাষ্ট্রের বৃহৎ প্রকল্পে বিতর্কিত নেতার অনুপ্রবেশ; চাকরির আড়ালে নানা অনিয়মের অভিযোগ, স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন
চট্টগ্রাম অফিসঃ
দেশের অন্যতম বৃহৎ মেগা প্রকল্প মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি বিলুপ্ত হওয়া মাতারবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং 'নিষিদ্ধ' ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা সুমন বাপ্পি এই প্রকল্পের আন্তর্জাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পস্কো (POSCO) কোম্পানীর সিকিউরিটি অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, রাষ্ট্রের এত বড় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে কর্মরত থাকা সত্ত্বেও তিনি স্থানীয় বিএনপি নেতা হোসাইন মাসুমের সাথে সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সূত্র মতে, মাতারবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে পরিচিত সুমন বাপ্পি, যিনি বর্তমানে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে 'নিষিদ্ধ' অবস্থায় রয়েছেন, তিনি কিভাবে পস্কো কোম্পানীর মতো একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে সিকিউরিটি অফিসারের মতো সংবেদনশীল পদে নিযুক্ত হলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগকারীরা বলছেন, এই চাকরির আড়ালে তিনি স্থানীয় বিএনপি নেতা হোসাইন মাসুমের সাথে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। এই সিন্ডিকেট প্রকল্পের অভ্যন্তরে এবং আশেপাশে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক ও অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করছে বলে গুঞ্জন রয়েছে।
দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই অবকাঠামো প্রকল্পে একজন 'নিষিদ্ধ' ঘোষিত রাজনৈতিক নেতার এমন পদে থাকা এবং তার বিরুদ্ধে অন্য রাজনৈতিক দলের নেতার সাথে যোগসাজশে অনৈতিক ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ প্রকল্পের নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তৈরি করেছে।
এমন অভিযোগ যদি সত্য হয়, তবে তা কেবল প্রকল্পের সুনামই ক্ষুণ্ণ করবে না, বরং জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত এই অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।
উল্লেখ্য যে, পস্কোর কিউসি ম্যানেজার নাহিদ হাসান সহ আরও কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, সুমন আ'লীগের এমপি আশেক উল্লাহর আস্তাভাজন ছিলেন। সেই সুবাধে সে আ'লীগ আমলে সিন্ডিকেট করে হাতিয়ে নিয়েছে শতো কোটি টাকা৷ এবং ৫ আগষ্ট পরবর্তী বিএনপির নামধারী কয়েকজন নেতাকে সাথে নিয়ে ভূয়া কোম্পানি তৈরি করে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। উক্ত সিন্ডিকেটে আওয়ামীলীগের পলাতক ব্যক্তি সহ বর্তমান মাতারবাড়িতে কতিপয় কয়েকজন বিএনপির নেতাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।
তার সিন্ডিকেটের সেসব বিএনপির সাইনবোর্ড ব্যবহারকারী নেতারা ইতিমধ্যে মাতারবাড়িতে বিভিন্ন প্রজেক্ট দখল, চাদাঁবাজি সহ মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পে ভিলেন স্টাইলে কাজ ভাগিয়ে নেওয়ার অহরহ অভিযোগ আছে।
চলবে...
0 মন্তব্যসমূহ