কক্সবাজারে বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ৩ অস্ত্র ব্যবসায়ী গ্রেফতার

 


 রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মহেশখালী পর্যন্ত বিস্তৃত চক্রের উন্মোচন

তানজীবুল ইসলাম জিহাদ: কক্সবাজারের দক্ষিণ কলাতলী এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ তিন অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৫। এই গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে কক্সবাজার ও মহেশখালী পর্যন্ত বিস্তৃত একটি অবৈধ অস্ত্র সরবরাহ চক্রের কার্যক্রম উন্মোচিত হয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব। এই অভিযান জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র‍্যাবের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন।

র‍্যাব-১৫ এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। মায়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা সশস্ত্র সন্ত্রাসী এবং অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীরা বিভিন্নভাবে অস্ত্র ও গুলি কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে প্রবেশ করাচ্ছে। পরবর্তীতে এসব অস্ত্র বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে কক্সবাজার ও মহেশখালীর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের কাছে ছড়িয়ে পড়ছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব জানতে পারে যে, মহেশখালীর কিছু অসাধু অস্ত্র ব্যবসায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কিছু অস্ত্র ব্যবসায়ীর যোগসাজশে কক্সবাজারের বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের কাছে অস্ত্র সরবরাহ করে থাকে।




এই তথ্যের ভিত্তিতে, গত বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) রাতে র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার পৌরসভার দক্ষিণ কলাতলী এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অস্ত্র সরবরাহ করে অন্যত্র প্রেরণের উদ্দেশ্যে অবস্থান করা ০৩ জন অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ০১টি বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র, ৬১টি তাজা কার্তুজ, ০৮টি বিদেশী পিস্তলের তাজা কার্তুজ, ০১টি স্মার্ট ফোন, ০২টি বাটন ফোন, ০১টি ইজিবাইক ও নগদ ১২.৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে র‍্যাব নিশ্চিত করেছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন: বড় মহেশখালীর মাঝার ডেইল এলাকার শাহ আলম (৪০), যিনি বর্তমানে কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলে থাকেন; উখিয়ার মাদার বুনিয়ার আব্দুল জলিল (২৯); এবং মহেশখালীর দেবাঙ্গা পাড়ার আদিল প্রকাশ আদিল্লা (৩৫)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী শাহ আলম অজ্ঞাতনামা আসামীদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ ক্রয় করার পর অটোচালক আব্দুল জলিলের মাধ্যমে তা সরবরাহ করত। র‍্যাব-১৫ এর কর্মকর্তা আ.ম ফারুক জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃত অস্ত্র ব্যবসায়ী ও উদ্ধারকৃত অস্ত্র-গুলির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে সংশ্লিষ্ট থানায় হাস্তান্তর করা হয়েছে। র‍্যাব মাদককারবারী, অস্ত্র সন্ত্রাসী, অপহরণকারী কিংবা ডাকাতদল যেই হোক, সকল অপরাধীর বিরুদ্ধে সাড়াঁশি অভিযান অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ