কক্সবাজারের সোনাদিয়া চ্যানেলে সোমবার সন্ধ্যায় আরও একটি অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহ ভেসে এসেছে। তবে এটি গত ৮ জুলাই নিখোঁজ হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অরিত্র হাসানের নয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র ও তার পরিবার নিশ্চিত করেছে। ২১ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও অরিত্রের কোনো খোঁজ মেলেনি, যা তার পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
আরবিএন কক্সবাজার অফিস:
কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে আবারও ভেসে এলো একটি মৃতদেহ। গতকাল সোমবার (২৮ জুলাই, ২০২৫) সন্ধ্যায় সোনাদিয়া চ্যানেলে ভেসে আসা এই মরদেহের পরিচয় এখনও শনাক্ত হয়নি। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, মরদেহটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
সাগরে মরদেহ ভেসে আসার খবরে সবার মনে একটাই প্রশ্ন জাগে—এটি গত ৮ জুলাই নিখোঁজ হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অরিত্র হাসানের মরদেহ কিনা। তবে বীচকর্মী মাহাবুব আলম জানিয়েছেন, ভেসে আসা লাশটি একজন মধ্যবয়স্ক পুরুষের, যা অরিত্রের বয়সের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
অরিত্রের অপেক্ষায় স্বজনেরা
হাসপাতালের মর্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি সূত্রও নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, মরদেহটি একজন বয়স্ক লোকের, মাথায় চুল নেই এবং এটি ২ থেকে ৩ দিনের পুরোনো হতে পারে। এসব তথ্য বিবেচনা করে সূত্রটি দাবি করেছে, এটি ২২ বছর বয়সী অরিত্র হাসানের মরদেহ নয়। অরিত্র হাসানের বাবাও প্রাপ্ত তথ্য এবং সার্বিক বিষয়গুলো মিলিয়ে এটি তার সন্তানের মরদেহ নয় বলে নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই সমুদ্র সৈকতের হিমছড়ি পয়েন্টে গোসল করতে নেমে সাগরে ভেসে যান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন বন্ধু—অরিত্র হাসান, সাদমান রহমান সাবাব এবং আসিফ আহমেদ। সাদমান রহমান সাবাব ও আসিফ আহমদের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হলেও, ২১ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও অরিত্র হাসানের কোনো খোঁজ মেলেনি। অরিত্রের বাবা-মা এখনও তাদের সন্তানের অপেক্ষায় রয়েছেন। তার স্বজনরা বলছেন, "সমুদ্র সবকিছু ফিরিয়ে দেয়, গচ্ছিত রাখে না কিছুই, কেবল ফিরে আসে না অরিত্র…"
মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশ পরিদর্শক নাজমুল হাসান বলেন, মহেশখালী থানা পুলিশ সোনাদিয়া থেকে অজ্ঞাত মরদেহটি উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসে। এখনও পর্যন্ত মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
0 মন্তব্যসমূহ