
র্যাব-১৫’র জালে ডাকাত জাহিদ বাহিনীর সদস্য ইমরান; ঈদ আনন্দের আগে ঘটা বর্বরোচিত ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন
কক্সবাজার অফিসঃ
পবিত্র ঈদুল আযহার আগে কোরবানির গরু কিনে বাড়ি ফেরার পথে ডাকাত দলের ছুরিকাঘাতে কিশোর পারভেজ (১৭) নিহত হওয়ার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় দায়ের করা মামলার অন্যতম আসামি ও ডাকাত জাহিদ দলের সদস্য ইমরান হোসেনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫।
আজ বুধবার (১৮ জুন) বিকালে কক্সবাজারের রামু থানাধীন কাউয়ারখোপ ইউপির গাছুয়াপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। ঈদকে সামনে রেখে ঘটে যাওয়া এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড কক্সবাজারসহ সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।
গত ৩ জুন মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ফরেস্ট অফিস এলাকায় মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটে। নিহত পারভেজের পরিবার সূত্রে জানা যায়, কোরবানির গরু নিয়ে পারভেজ ও তার সঙ্গীরা বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় ডাকাত জাহিদ ও তার দলের সদস্যরা অতর্কিত হামলা চালায়। ডাকাত দলের ধারালো ছুরির আঘাতে পারভেজ গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন। এই বর্বরোচিত ঘটনার পরপরই নিহতের পিতা বাদী হয়ে রামু থানায় একটি হত্যা মামলা (মামলা নং-০৪) রুজু করেন।
মামলার আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে কক্সবাজার র্যাব-১৫, সদর ব্যাটালিয়নের একটি চৌকস আভিযানিক দল ঘটনার নিবিড় ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায়, আজ ১৮ জুন বুধবার বিকালে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ওই আভিযানিক দলটি রামু থানাধীন কাউয়ারখোপ ইউপির গাছুয়াপাড়া এলাকায় সফল অভিযান চালিয়ে ডাকাত জাহিদ দলের অন্যতম সহযোগী ও এজাহার নামীয় ৪ নম্বর আসামি ইমরান হোসেনকে (২১) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ইমরান নিজেকে ডাকাত জাহিদের দলের একজন সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেছে। র্যাবের কাছে দেওয়া তার ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান জানায় যে, ডাকাত জাহিদের নির্দেশেই আহমেদ হোসেন (৫৫) এবং সালাউদ্দিন পারভেজ (১৭) সহ তাদের সঙ্গে থাকা লোকজনের উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, ছুরি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালানো হয়েছিল। একপর্যায়ে ডাকাত জাহিদ এবং দলের আরেক সদস্য ইকবাল যৌথভাবে পারভেজকে ছুরিকাঘাত ও এলোপাতাড়ি মারধর করে তাদের কোরবানির গরু ছিনিয়ে নেয়।
হামলার পর গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় সালাউদ্দিন পারভেজ এবং আহমেদ হোসেনকে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার সালাউদ্দিন পারভেজকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, গুরুতর আহত আহমেদ হোসেন বর্তমানে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গ্রেফতারকৃত আসামি ইমরান হোসেন (২১), যার পিতা মো. আবু বক্কর, সে কক্সবাজার জেলার রামু থানাধীন কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ০৭ নং ওয়ার্ডের গাছুয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তা
তাকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের জন্য রামু থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
র্যাব কর্মকর্তা আ. ম. ফারুক জানান, "এই গ্রেফতারের ফলে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে এবং
কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য রামু থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
।"
0 মন্তব্যসমূহ