কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের কলাতলী ডলফিন মোড়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) অনুমোদন ব্যতিরেকে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার পরিচালিত অভিযানে পুলিশ বক্সের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত প্রায় ৫ কোটি টাকা মূল্যের ১০টি বাস কাউন্টার ও একটি রেস্টুরেন্ট গুঁড়িয়ে দেওয়া হলেও, ঠিক এর পেছনের এবং উত্তর পাশে অবস্থিত আরও কিছু অবৈধ স্থাপনা অক্ষত থাকায় স্থানীয়দের মধ্যে প্রশ্ন ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনার মালিকরা দাবি করেছেন, এটি তাদের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জায়গা। তারা প্রশ্ন তোলেন, তাদের স্থাপনা ভাঙ্গা হলেও একই এলাকার অন্যান্য অবৈধ কাঠামো কেন বহাল তবিয়তে রয়েছে?
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কউকের অথোরাইজড অফিসার মোহাম্মদ রিশাদ উন নবী জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় বৈশাখী রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য চিহ্নিত অবৈধ স্থাপনাগুলো এই মুহূর্তে ভাঙ্গা সম্ভব হয়নি। তবে, তারা পর্যায়ক্রমে ওইসব স্থাপনাও উচ্ছেদ করার আশ্বাস দিয়েছেন।
কউকের এই কর্মকর্তা দৈনিক পূর্বকোণকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরও জানান, উচ্ছেদকৃত স্থাপনার মালিক হামিদ ভূমি অফিসের ছাড়পত্র নিয়ে কউকের কাছে অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু অনুমোদন প্রক্রিয়া ও তদন্তাধীন থাকা অবস্থাতেই তিনি অবৈধভাবে নির্মাণ কাজ শুরু করেন এবং ভাড়া দেওয়া শুরু করেন, যা কউকের সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত। একাধিকবার নোটিশ দেওয়ার পরও হামিদ নির্মাণ কাজ বন্ধ না করায় কউক বাধ্য হয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। অন্যান্য অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে তিনি বলেন, সেগুলোও খতিয়ে দেখা হবে এবং নিয়ম লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া গেলে পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে।
তবে, কউকের এই ব্যাখ্যা স্থানীয়দের মধ্যে পুরোপুরি বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। একটি অংশের দ্রুত উচ্ছেদ এবং প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থাকা অন্যান্য অবৈধ স্থাপনাকে ছাড় দেওয়ায় কউকের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, কউক একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছে। যদিও কউক কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতে অন্যান্য অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে, তবে মাঠপর্যায়ে তার প্রতিফলন না দেখা পর্যন্ত এই বিতর্ক সম্ভবত অব্যাহত থাকবে।
0 মন্তব্যসমূহ