খুরুশকুলে যুবকের মর’দেহ উদ্ধার, এনসিপি নেতা রাইয়ানকে মা''রধর





কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ


কক্সবাজারের খুরুশকুল ইউনিয়নের মাঝির ঘাট এলাকায় একটি মৎস্য ঘের থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান জানান, রোববার দিবাগত রাত (৫ মে) ১২ঃ৩০ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

ওসি ইলিয়াস খান বলেন, নিহত আলি আকবর (৩৫) খুরুশকুলের কুলিয়াপাড়ার মৃত দানু মিয়ার পুত্র।

হ্যাচারির পরিচালক রাইয়ান কাশেম গণমাধ্যমের কাছে দাবী করেন, নিহত যুবক তাদের ঘেরে মাছ চুরি করতে এসে ধরা পড়ে। এসময় ওই যুবক নৈশ প্রহরীকে দা দিয়ে আঘাত করলে আত্মরক্ষার্থে সেও লাঠির আঘাত করে৷ এতে আকবর নামের ওই যুবক নিহত হয়।

সাংবাদিকদের প্রবেশে বাঁধা দেওয়ার বিষয়ে রাইয়ান জানান, ঘেরে নিহত ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে পুলিশ ঘেরে প্রবেশ করেছে, তারা তদন্ত করে সে বিষয়ে মূল ঘটনা বের করবে তাই অত্র স্থানে

তবে এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবারের অভিযোগ, আকবর’কে চুরির অপবাদ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।




একটি ভিড়িও’তে দেখা যায়, কক্সবাজারের সাবেক জামায়াত নেতা ও বর্তমান এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা জাহাঙ্গীর কাসেমের ছেলে ছাত্র সমন্বয়ক ও এনসিপির নেতা রায়হান কাসেমকে আল্লাহ ওয়ালা হ্যাচারী তে একজন যুবককে খুনের দায়ে পুকুরে ফেলে পেটায় জনগণ । পরে পুলিশ সহ কয়েকজন যুবক তাকে সেখান থেকে মারধরের ঘটনা থেকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসে।




স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী আনোয়ার হোসেন জানান, খুরুশকুল কুলিয়াপাড়ার এক যুবককে হত্যা করার সংবাদে স্থানীয় চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিনের সাথে আল্লাহওয়ালা হ্যচারির দিকে আসি। তবে হ্যাচারির ভিতরে চেয়ারম্যান প্রবেশ করতে পারলেও আমাকে সহ স্থানীয় কোন গণমাধ্যমকর্মীকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। চিংড়ি ঘেরে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাঁধা দেয় উক্ত জায়গার মালিক ও এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা কাসেমের পুত্র রাইয়ান কাসেম সহ হ্যাচারি কর্তৃপক্ষ । তাকে পরিকল্পিত হত্যা করেছে নাকি অন্য কেও মেরেছে এটি সঠিক তদন্ত করলে মূল ঘটনা বের হয়ে আসবে।

পরে থানায় সাংবাদিকেরা সংবাদ সংগ্রহ করতে চাইলে থানায় প্রবেশে বাঁধা দেয় কক্সবাজার সদর থানা এমন অভিযোগ করেছেন একাধিক সাংবাদিক।




এদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য জানান, যুবকের মরদেহ উদ্ধার হওয়ার স্থান ‘আল্লাহওয়ালা হ্যাচারি’তে এলাকাবাসী ভাঙচুর চালিয়েছেন। একপর্যায়ে তারা হ্যাচারির পরিচালক রাইয়ান কাশেমের উপরও হামলা করে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।




তিনি এলাকাবাসীকে নিবৃত করার চেষ্টা করেছেন বলেও জানান। এসময় আহত হয়েছেন ৫-৬ জন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইলিয়াস খান এঘটনায় দুজনকে হেফাজতে নেয়ার কথা জানিয়েছেন।

ওসি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর আছে।

উল্লেখ্য যে, এর আগেও এ-ই হ্যাচারীর মধ্যে ২০২০ সালেও একটা খুন হয়েছে বলে জানান ও আজকে খুন হওয়ার ব্যক্তির মূল রহস্য বা কি কারণ রয়েছে তা তদন্ত করে বের করে অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্থির আশা করেন।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ