কুখ্যাত ডাকাত শাহীনের আস্তানায় যৌথ বাহিনীর অভিযান: অধরা মূল হোতা

কুখ্যাত ডাকাত শাহীনের আস্তানায় যৌথ বাহিনীর অভিযান: অধরা মূল হোতা


কক্সবাজার অফিসঃ

কক্সবাজার, ২৫ মে ২০২৫। কক্সবাজারের রামুর চিহ্নিত ডাকাত ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী শাহীনুর রহমান শাহীন ওরফে শাহীনের আস্তানায় আজ ভোরে অতর্কিত অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। র‌্যাব-১৫, পুলিশ ও বিজিবির সমন্বয়ে পরিচালিত এই অভিযানে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, মাদকদ্রব্য, জাল টাকা এবং যোগাযোগের সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। তবে যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কুখ্যাত এই অপরাধী তার সহযোগীদের নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।

র‌্যাবের ল' অ্যান্ড মিডিয়া উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মাদকের বিরুদ্ধে র‌্যাবের ধারাবাহিক অভিযান এবং চলমান গোয়েন্দা তৎপরতার অংশ হিসেবে গোপন সূত্রে খবর পাওয়া যায় যে, রামু থানাধীন গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মাঝিরঘাটা গ্রামে পলাতক আসামী শাহীনুর রহমান শাহীন তার বসতঘরে কয়েকজন সহযোগীসহ মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে।

এই সংবাদের ভিত্তিতে আজ ভোর বেলায় র‌্যাব-১৫ এর নেতৃত্বে পুলিশ ও বিজিবির একটি সমন্বিত দল আসামী শাহীনুর রহমান শাহীনের বাড়ির সামনে অভিযান পরিচালনা করে। যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে শাহীনসহ তার অজ্ঞাতনামা সহযোগীরা ঘরের পিছনের দিক দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তার উপস্থিতিতেই র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আসামীর বসতঘরে প্রবেশ করেন। সাক্ষীদের সামনে তল্লাশি চালিয়ে ঘরের ভেতর থেকে বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র, দুটি ১২ বোর কার্তুজ, গুলরি পিতলের খালি খোসা, বিপুল পরিমাণ গাঁজা, জাল টাকা, একটি ওয়াকি-টকি সেট এবং একটি কালো রঙের বাইনোকুলার উদ্ধার করা হয়। বিধি মোতাবেক জব্দকৃত এসব আলামত পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য রামু থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

র‌্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, পলাতক আসামী শাহীনুর রহমান শাহীন একজন অস্ত্রধারী ডাকাত এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সে দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় অন্তত ১৯টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে, যা তার অপরাধ প্রবণতার ভয়াবহতা প্রমাণ করে।

এই অভিযানে কুখ্যাত ডাকাত শাহীনকে গ্রেফতার করা সম্ভব না হলেও, তার আস্তানায় অস্ত্রের বিপুল মজুদ, মাদকদ্রব্য এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত যোগাযোগের সরঞ্জাম জব্দ করা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটি এলাকায় অপরাধ দমনে বাহিনীর দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে, ১৯ মামলার আসামী এই চিহ্নিত অপরাধীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ