নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
শহরের সুগন্ধা পয়েন্টে সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) তাদেরকে সোমবার (২৮ এপ্রিল) প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা করার জন্য বলা হয়েছে।
অন্যথায় অবৈধ স্থাপনার কাজ বন্ধসহ উচ্ছেদের কথা জানিয়েছেন, সহকারী কমিশনার ( ভূমি) শারমিন সুলতানা। তিনি আরও বলেন, রেভিনিউ স্যারের সাথে আলাপ করার পর সন্ধ্যায় ওই জায়গায় গিয়ে স্থাপনার কাজ বন্ধ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাঁদেরকে সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর ১২ টার মধ্যে কাগজপত্র নিয়ে ডিসি স্যারের সাথে দেখা করতে বলা হয়েছে।
বেশ কিছুদিন ধরে সরকারি আদেশ অমান্য করে শহরের সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি হলে তা নিয়ে শহরজুড়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছিল। রবিবার সন্ধ্যা'য় সহকারী কমিশনার ( ভূমি) শারমিন সুলতানার নেতৃত্বে উক্ত জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা যায়, ২০০০৩ দাগের ৩৯ দশমিক ৭৮ একর জায়গা ২০১৮ সালে সরকারিভাবে খাস হয়ে যায়। এ দাগের জায়গা কলাতলী থকে শুরু করে লাবনী পর্যন্ত এসে শেষ হয়। উক্ত জায়গায় ব্যক্তি মালিকানাধীন আর কোন জায়গা নেই। দাগের ২ দশমিক ৩ একর জায়গা ১ নং সরকারি খাস খতিয়ানের জায়গা। রীটকারী সচ্চিদানন্দ সেন গুপ্তের করা মামলা ( ১০৬৫৭/২৪) তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ এর বিরুদ্ধে সরকার পক্ষ সুপ্রীম কোর্টে আপীল (যার আপিল নং- ৩৭২৯/২৪) দায়ের করলে সরকারের পক্ষের আবেদনে সন্তুষ্ট হয়ে স্থগিতাদেশ দেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এর আগেও ডিসি মামুনুর রশিদ, শাহীন ইমরান সহ কয়েকজন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব থাকাকালীন উক্ত জায়গার অবৈধ উচ্ছেদ করতে গিয়েছিল কিন্তু পরে আবারক সেখানে মাঠি ভরাট ও ১০০ দোকানের বেশি মার্কেট নির্মাণ সহ কাজ প্রায় শেষের পথে। প্রশাসনের কিছু কতিপয় অসাধু ব্যক্তিদের কারণে ভূয়া খতিয়ান সহ নানা জাল দলিল তৈরি করে সরকারী ও ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গা দখলে নের্তৃত্ব দিচ্ছেন ওবাইয়দুল নামে এক আওয়ামীলীগের নেতা। যিনি কক্সবাজার মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সহ-সভাপতি।
অভিযোগ আছে, অদৃশ্য কারণে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার মূল্যের ১ নং খাস খতিয়ান জায়গার মালিক সরকার হলেও তা দখলে নিচ্ছে আওয়ামীলীগের ওবায়দুল সহ একটি সিন্ডিকেট। ভিতরের কাজ যেন বাহির থেকে দেখা না যায় সেজন্যে উক্ত দখলবাজ ৩ একর জায়গার চারপাশে প্রায় ২০ ফুটের বেশি টিনের বেড়া দিয়েছে। রাত যত গভীর হয় কাজের গতিও বাড়ে৷
জানা যায়, বিকেলে এসিল্যান্ড সরজমিনে গিয়ে তাদের কাজ বন্ধ করতে বলে মৌখিকভাবে কিন্তু তাদের অবৈধ কার্যক্রমে ব্যবহৃত সরঞ্জাম তা জব্দ না করায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিকাল ৫ টার দিকে মৌখিকভাবে কাজ বন্ধ করতে বললেও ২ ঘন্টা পর সেখানে পুরোদমে কাজ করছে বলে অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীদের।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো সালাহউদ্দিন বলেন, বিষয়টি নজরে আসার পর সহকারী কমিশনার ( ভূমি) নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে। তাঁদেরকে আজকে সঠিক কাগজপত্র নিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছে। কাগজে কোন রকম গড়মিল থাকলে ও-ই স্থানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
0 মন্তব্যসমূহ